ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ ৩৪ বছর পূর্বে হারানো চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করলেন আলী হোসেন


আপডেট সময় : ০৪-১২-২০২৪ ১১:১৭:২৬ অপরাহ্ন
দীর্ঘ ৩৪ বছর পূর্বে হারানো চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করলেন আলী হোসেন দীর্ঘ ৩৪ বছর পূর্বে হারানো চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করলেন আলী হোসেন

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি 

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার অন্তর্গত সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের চৌয়ারীপাড়া গ্রামের আলী হোসেন হাওলাদার ৩৪ বছর পূর্বে তার হারানো পুলিশ কনস্টেবল পদের চাকরি ফিরে পেতে চান। গত সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে তিনি এ মর্মে লিখিত আবেদন করেছেন।


আলী হোসেন হাওলাদারের আবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে চট্রগ্রাম বন্দর থানাধীন নিউমুরিং পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীতে জাহাজ থেকে অবৈধ বেনসন সিগারেট ও হুইস্কি ব্র্যান্ডিংয়ের চালান নামিয়ে পাচার করার সময় কনস্টেবল আলী হোসেনের নেতৃত্বে অবৈধ ওই মালের চালানসহ ৪ জনকে আটক করে বন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়। কিন্তু ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা পুরস্কারের বদলে তাকে এর জন্য তিরস্কৃত করেন এবং চার আসামিসহ ওই অবৈধ মালের চালান ছেড়ে দেন। 


পরে ওই বছরের ৫ জুন দিবাগত গভীর রাতে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার  মেরিন ওয়ার্কসপের মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজন চোরকে চুরিকৃত মালামালসহ ওয়ার্কসপের প্রহরীরা হাতেনাতে আটক করে। পরের দিন এ বিষয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামীদের আদালত থেকে রিমান্ডে পুনরায় থানায় নিয়ে আসা হয়। ৬ জুন গভীর রাতে আসামিরা থানাহাজত থেকে কৌশলে শিকল দেওয়া লোহার দরজার পাল্লা ফাঁক করে পালিয়ে যায়। থানা হাজত থেকে আমিরা পালিয়ে যাওয়ায় তদন্ত শেষে ১৬ জুন থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই চুরির মামলায় নিউমুরিং পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল আলী হোসেন হাওলাদার ও কনস্টেবল আব্দুল হান্নানকে জড়িত দেখিয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। 


এ ছাড়াও ১৯৯০ সালের ৬ জুন ১৬ জুন দায়েরকৃত পৃথক দুই মামলায়ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কনস্টেবল আলী হোসেন হাওলাদারকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে আব্দুল হান্নানকে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে চাকরিতে পুর্নবহাল করা হয়। বিভাগীয় মামলায় ১৯৯০ সালের ২৯ আগস্ট আলী হোসেন হাওলাদারকে চাকরিচ্যূত করা হয়। নিয়মিত দুটি মামলার আসামি হওয়ায় আলী হোসেন হাওলাদার ওই সময় চাকরি পুর্নবহালের আবেদন করতে পারেননি। আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মামলা থেকে খালাস পেয়ে তিনি ১৯৯৪ সালের ৩০ মে চাকরি ফিরে পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।


এ বিষয়ে আলী হোসেন হাওলাদার বলেন, অবৈধ চোরাচালানের মাল ধরায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে তাকে দুটি মামলায় আসামি করে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। চাকরি হারিয়ে তাকে পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘবছর মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে। বিগত রাজনৈতিক সরকারগুলোর আমলে তিনি ন্যায় বিচার পাননি। চলতি বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের আমলে তিনি ন্যায় বিচারের মাধ্যমে চাকরি ফিরে পাবেন এ প্রত্যাশায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।






 

নিউজটি আপডেট করেছেন : ba@news

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ